স্বদেশ ডেস্ক:
মধ্য আফ্রিকার ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে আগ্নেয়গিরি মাউন্ট নিরাগংগোর অগ্ন্যুৎপাতে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অগ্ন্যুৎপাতের লাভায় পাঁচ শ’র বেশি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার খবর জানায় কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
এর আগে শনিবার রাতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে আগ্নেয়গিরির কাছাকাছি গোমা শহর থেকে পাঁচ হাজারের বেশি বাসিন্দা পালিয়ে রুয়ান্ডা সীমান্তে গিয়ে আশ্রয় নেয়। অপরদিকে আরো ২৫ হাজার লোক উত্তর-পশ্চিমের শেক শহরে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানায় জাতিসঙ্ঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।
স্থানীয় ইউনিসেফ কর্মকর্তারা জানান, তারা এক শ’ ৭০ এর বেশি শিশু নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করছেন।
অগ্ন্যুৎপাত শুরু হওয়ার পর একাকি শিশুদের আশ্রয়কেন্দ্রে পৌঁছাতে সহায়তা করেছেন বলে জানান ইউনিসেফ কর্মকর্তারা।
গোমার বাসিন্দারা বলেন, অগ্ন্যুৎপাতের ধোঁয়ায় আকাশ লাল হয়ে যাওয়ার আগে তারা সতর্ক হওয়ার অল্প সুযোগই পেয়েছিলেন। আগ্নেয়গিড়িতে ধোঁয়া দেখার পর লোকজন দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে।
আগ্নেয়গিরির লাভায় আগুন লেগে যাওয়া বাড়িগুলো থেকে ওড়া ধোঁয়ায় বাতাস ভারি হয়ে আছে।
গোমা থেকে পালিয়ে আসা ৪৭ বছর বয়সী বিয়েত্রিস কাটুঙ্গু আলজাজিরাকে জানান, তার ১০ সন্তানের মধ্যে আট সন্তান ও স্বামী এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না, তারা কি বেঁচে আছে না লাভার আগুনে পুড়ে মরেছে।’
এদিকে রোববার অগ্ন্যুৎপাত থামার পর কেউ কেউ তাদের বাড়িতে ফিরলেও বেশিরভাগই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন।
জাতিসঙ্ঘের শান্তিরক্ষা মিশনসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় গোমা শহরে অবস্থিত। ২০০২ সালে মাউন্ট নিরাগংগোর এমনই এক অগ্ন্যুৎপাতে গোমায় ও চারপাশের গ্রামে শত শত লোক নিহত হয়। এছাড়া অগ্ন্যুৎপাতে বাস্তুচ্যুত হয় আরো এক লাখের বেশি মানুষ।
সূত্র : আলজাজিরা